চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক অভিযানে ৫৫ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। এ সময় তাদের কাছে থেকে ১৩৭ কেজি ইলিশ, ৩ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ মিটার কারেন্ট জাল ও আটটি ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় ৫৫ জেলেকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং আটজনকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ১০ জেলেকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা করা হয়।

নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। ২৪ ঘণ্টা নদীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ পৃথকভাবে অভিযান চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৫৫ জেলেকে আলামতসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং আটজনকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ১০ জেলেকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে পাঁচটি মামলা করা হয়। এছাড়া জব্দ করা মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞাকালীন মাছ শিকারে নদীতে নামলে আটক ব্যক্তির সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।

আনোয়ারুল হক/এফআরএস