নোয়াখালীতে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযানে বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ। এসময় জরিমানার পাশাপাশি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। 

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের পৌর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নোয়াখালীর পৌর বাজারে অভিযান চালায় বিশেষ টাস্কফোর্স টিম। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ। অভিযানে পণ্য বেচাকেনার পাকা রসিদ সংরক্ষণ না করা ও মূল্য তালিকা না থাকায় দুই ব্যবসায়ীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

বিশেষ করে কাঁচা বাজারের সিন্ডিকেট বন্ধে ফড়িয়াদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দেন জেলা প্রশাসক। অভিযানের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের পণ্য বেচাকেনার পাকা রসিদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ, মূল্য তালিকা দৃশ্যমান রাখা, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া পণ্য সরবরাহ ও বিক্রি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদের নেতৃত্বে পৌর বাজারে বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পাইকারি আড়ত এবং খুচরা বাজার মূল্য তদারকি করা হয়। টাস্কফোর্স অভিযানে সব ব্যবসায়ীকে ভাউচার সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

এ সময় ভাউচার না রাখায় এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় দুই ব্যবসায়ীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নোয়াখালী জেলার বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাজার মনিটরিং শেষে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশেষ টাস্কফোর্সের টিম প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছেন। সরকারের নির্দেশনা মেনে দ্রব্যমূল্যের দাম যাতে সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালে রাখা যায় এজন্য আমাদের জোর চেষ্টা থাকবে। আমরা আশা করি কিছুদিনের মধ্যে বাজার একটি সহনশীল পর্যায় আসবে এবং সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। 

অভিযানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার সেটু কুমার বড়ুয়া, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌতম চন্দ্র দাস, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহিম হাসান খান, সুধারাম মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করেন।   

হাসিব আল আমিন/এমএসএ