চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ২৪ ঘণ্টায় পৃথক অভিযানে ১৫ জন মৎস্যজীবীকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় ২৫ কেজি ইলিশ, এক লাখ ২১ হাজার ৫শ মিটার কারেন্ট জাল ও ৪টি ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

আটক মৎস্যজীবীরা হলেন— মোজাম্মেল (৩০), সজীব (২৪), জিসান (২০), রাব্বি (২০), কালু প্রধান (৩৬), তাজির ব্যাপারী (২৭), সিফাত (১২) দেলু বেপারী (৪০), কামাল হোসেন (২৫), রফিক (২০), রহিম আলী (১৯), রাসেল (১৫)।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নৌ পুলিশসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এসময় নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় জেলেকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে অভিযানকালে ১৫/২০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ৮০-৯০ জন আসাধু জেলে বাধা সৃষ্টি করে। এসময় তারা এলোপাতাড়ি ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। সেই সঙ্গে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশের লাঠি দিয়ে ট্রলারে থাকা পুলিশ সদস্যসহ মৎস্য ক্ষেত্র সহকারী ও নৌকার মাঝিকে আঘাত করেন। এ ঘটনায় মতলব উত্তর উপজেলার মৎস্য ক্ষেত্র সহকারী মোশারফ হোসেন (৩২), এএসআই কামাল হোসেনসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। ২৪ ঘণ্টা নদীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ পৃথক অভিযান পরিচালনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ জেলেকে আলামতসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা তাদের দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নৌ পুলিশের ওপর হামলায় আহত পুলিশ সদস্য, মৎস্য কর্মকর্তা এবং ট্রলারের চালককে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

আনোয়ারুল হক/এসএমডব্লিউ