পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হঠাৎ উত্তাল হয়ে উঠেছে। গত দুইদিন ধরে জোয়ারের তীব্র গতিতে উত্তাল ডেউ আঁচড়ে পড়ছে সৈকতের তীরে। এতে ভাসমান ব্যবসায়ীরাসহ আশেপাশের দোকানপাট ও পুলিশ বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয় হঠাৎ সমুদ্র উত্তল হওয়ায় কুয়াকাটা আগত পর্যটকরা মেতেছেন ঢেউয়ের তালে। তবে সমুদ্রে উল্লাস করা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট, ফিসফ্রাই পট্টি, ঝাউবনসহ বিভিন্ন স্থানে জোয়ারে পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে আশেপাশের এলাকায় আছড়ে পড়তে দেখা গেছে।

এতে সৈকতে থাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর আগত পর্যটকরা লাফিয়ে লাফিয়ে উপভোগ করছেন উত্তাল ডেউ। তবে অতিরিক্ত ডেউ হওয়ায় ভয়ে অনেক পর্যটক সৈকতে না নেমে পাশে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন।

যশোর থেকে আগত পর্যটক সাদ্দাম বলেন, এর আগে কুয়াকাটাতে বেশ কয়েকবার এসেছি। কিন্তু গতকাল রাত্রে এবং আজ (শুক্রবার) সকালে এত পরিমাণ ঢেউ দেখেছি যে সৈকতে নামতে অনেক ভয় লাগছে। তবে অনেক আনন্দ পাচ্ছি কারণ এত বড় ঢেউ এর আগে কখনো দেখিনি। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ মাইকিং করে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করছে।

আব্দুর রহমান নামে এক পর্যটক জানান, এর আগেও কুয়াকাটা এসেছি। তবে আজ সেই সমুদ্রের ভিন্ন রূপ দেখছি। ঢেউয়ের তোড়ে গোসল করতে করতে ক্লান্ত। আমরা বন্ধুরা মিলে অনেক এনজয় করেছি। পুলিশ বারবার মাইকিং করে আমাদের নিষেধ করছে। আনন্দে তো আর নিজেকে ধরে রাখা যাচ্ছে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শপন জানান, পানি বাড়ার কারণে গতকাল থেকে দোকান বন্ধ করে রেখেছি। দোকানের ওপরে ঢেউ আছড়ে পড়ছে। অনেক মালামাল সরিয়ে নিয়েছি। এরকম ঢেউ এ বছরে কম হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, সমুদ্রে কোনো প্রকার সতর্ক সংকেত নেই, গতকালই উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে পূর্ণিমার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই-একদিন পরে এ পরিস্থিতি কমে যাবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার আনছার উদ্দিন বলেন, পর্যটকদের আগমন উপলক্ষ্যে আমাদের নিরাপত্তা সবসময় জোর দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় আমরা সতর্ক অবস্থান থেকে মাইকিং করে পর্যটকদের সমুদ্রের নামতে মানা করছি যাতে কোনো প্রকার দুর্ঘটনা না ঘটে।

এসএম আলমাস/এফআরএস