বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উসকানির অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক ও বর্তমান ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। কিন্তু সেই মামলার এক মাস পার হলেও মামলার আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আসামিরা নিজ কর্মস্থলে অফিস করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেপ্তারে নেই কোনো তোড়জোড়।

জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউসসানী শিপু বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও ১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলায় ইউজিসির ১৩ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।

আসামি ইউজিসির ১৩ কর্মকর্তা হলেন- সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সদস্য ও চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুক, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. আমিনুর রহমান, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উপ-পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, রিসাপা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের সিনিয়র সহ-পরিচালক ফরিদুজ্জামান ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সিনিয়র সহ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।

বাদী রবিউসসানী শিপুর মা নাদিয়া আফরোজ শিউলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আশুলিয়ায় ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে আমরা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক শঙ্কায় রয়েছি। আমার ছেলের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। আমি এখন বিচার চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি।

ইউজিসির কর্মকর্তাদের আসামি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বন্ধ করেছে। ওই সময় যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস হত তাহলে এত শিক্ষার্থী আহত বা নিহত হত না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী ও ডিবির পরিদর্শক আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে আনা হয়েছিল।

ইউজিসির কর্মকর্তারা আসামি হয়েও কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।

লোটন আচার্য্য/এমজেইউ