ফরিদপুরে উচ্ছেদ অভিযানে বাধার শিকার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রেলওয়ের সম্পত্তিতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী রেল স্টেশন হতে শিবপুর রেলগেট পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে দিয়ে রেলের কয়েক একর সম্পত্তি দখল করে ঘর তুলে অনেকে ব্যবসা করছেন। এদের কেউ লিজ নিয়েছেন আবার কেউ অবৈধ দখলদার। এসব অবৈধ দখলদার বা ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে যারা লিজ চুক্তি নবায়ন করেনি, তাদের উচ্ছেদ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ দুটি বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। বোয়ালমারী স্টেশন ও শিবপুর রেলগেট-সংলগ্ন এলাকার ৮-১০টি দোকান উচ্ছেদ করার পর রেলওয়ের লোকজনের ওপর চড়াও হয় স্থানীয় লোকজন। এ সময় কানুনগো জিয়াউল হক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন বলে জানা যায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে রেলেওয়ের লোকজন ফিরে যায়।
বিজ্ঞাপন
ওইসব জায়গা যারা লিজ নিয়েছেন তারা অভিযোগ করে বলেন, রাজবাড়ির কানুনগো জিয়াউল হক চুক্তি নবায়ন করতে গেলে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। কখনও কখনও ৪০-৫০ হাজার টাকা উৎকোচও দাবি করেন।
ওই জায়গা লিজ নিয়ে হাসপাতাল চালানো মডার্ন ডায়াগনস্টিকের মালিক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত রেলের জায়গা লিজ নিয়ে ব্যবসা করে আসছি। অনেকেই চুক্তি নবায়ন করেছেন। অন্যরাও করতে চান। কিন্তু কানুনগো জিয়াউলের হয়রানির কারণে নবায়ন করতে পারছে না।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে রেলের কানুনগো জিয়াউল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হয়। দুই দফা তিনি ফোন ধরেননি। এক দফা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি ফোন না ধারায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
বোয়ালমারীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রাব্বানী বলেন, জেলা প্রশাসক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য আমাকে নিয়োগ করেছিলেন। ৮-১০টি দোকান উচ্ছেদ করার পর উচ্ছেদ অভিযানে বাধা পড়লে অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জহির হোসেন/এএমকে