নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জার বাড়ি থেকে লুট হওয়া আট লাখ টাকা উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের রামদি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এই টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় অভিযুক্ত বাড়ির মালিককে পাওয়া যায়নি।

যৌথবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার রামদি এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীকর্তৃক একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে না পাওয়া গেলেও তার বাবার অনুমতি সাপেক্ষে বাড়ি তল্লালি করে বিভিন্ন গোপন স্থান থেকে নগদ ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত টাকা নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জার বাড়ি লুটপাট করে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও স্বর্ণ পায় তারা। অভিযুক্ত জামাল মিয়ার বাড়িতে লুটের টাকার খবর পায় যৌথবাহিনী। অভিযান পরিচালনা করে লুটের নগদ ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযুক্ত জামাল মিয়া পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করতে পারেনি যৌথবাহিনী।

নোয়াখালী আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, লুটের প্রায় আট লাখ টাকা উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ছাড়াও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক না করা পর্যন্ত যৌথবাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

হাসিব আল আমিন/এএমকে