জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অটো ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকা এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ৮টার দিকে মারা যান তিনি।

জয়পুরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মিজানুর রহমান (১৯)। তিনি জয়পুরহাট সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর ফুলদিঘী মধ্যপাড়া এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি মা তানজিলা খাতুনকে নিয়ে জয়পুরহাট শহরের মাস্টারপাড়াতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পুলিশ ও নিহত শিক্ষার্থীর স্বজন সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান গত ১২ অক্টোবর জয়পুরহাট শহরে তার মাকে মোটরসাইকেলে এনে নামিয়ে দিয়ে মঙ্গলবাড়ি বাজারে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিমুলতলী এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোর সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়, এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাত পৌনে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহত মিজানুরের বন্ধু বিজয় হাসান বলেন, মিজানুর আমাদের ভালো বন্ধু ছিল। সে সেবামূলক বিভিন্ন কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে থাকত। এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার কোনো ভাই বা বোন নেই, সে একাই ছিল। তার বাবাও অনেকদিন আগে মারা গেছে। তার এমনভাবে মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।

চম্পক কুমার/এএমকে