শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যার তিন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান ভূঁইয়া জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে আদালত রিমান্ডের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ২২ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেন। কোর্ট পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে গত ৪ আগস্ট বিকেলে শেরপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবুজ মিয়া, সৌরভ ও মাহবুব নামে তিন ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পৃথক মামলা হয়েছে। বুধবার বিকেলে যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশকালে গ্রেপ্তার হন চন্দন কুমার পাল।

এদিকে চন্দন কুমার পালের ভাই অ্যাডভোকেট শক্তিপদ পাল বলেন, তিনি (চন্দন কুমার পাল) একজন সিনিয়র আইনজীবী, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি। এ ছাড়া দুই দফায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বা মামলার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

কেবল রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই চন্দন কুমার পালকে এসব মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন অ্যাডভোকেট শক্তিপদ পাল।

মো. নাইমুর রহমান তালুকদার/এমজেইউ