বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের কারণে আকস্মিক বৃষ্টি হয়েছে বরিশাল নগরীতে। মাত্র পৌনে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের মধ্যে সদর রোড, বটতলা থেকে নবগ্রাম রোড, কলেজ রোড, ভাটিখানা, আমানতগঞ্জে জলাবদ্ধতার তৈরি হয়। তলিয়ে যায় নগরীর বর্ধিতাংশ। এ ছাড়া বিভাগের পাঁচটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রূপাতলী হাউজিং এলাকার বাসিন্দা নাজমুন ইসলাম বলেন, সারাদিন আবহাওয়া ভালো ছিল। সন্ধ্যার আগে হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি নেমে শহরটা থামিয়ে দেয়। এতো প্রবল বৃষ্টিতে চলাচলই সম্ভব হচ্ছিল না।

সদর রোডের ব্যবসায়ী কবির সিকদার বলেন, সদর রোড পুরোপুরি পানিবদ্ধ হয়ে পরে। যানবাহন চলাচল করতে ভোগান্তি হচ্ছিল। এখনো শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পানি রয়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহমেদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের কারণে আকস্মিক বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪২ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। নদী বন্দরে ১ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে বিভাগের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নদীর মধ্যে পাঁচটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিষখালী নদী বরগুনা জেলার সদর উপজেলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, মেঘনা নদী ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে