বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, অনেকে বলেন টুকু পালায়ে গেছে, আর আসবে না। টুকু পালায়নি...। সরকার জানে টুকু বিদেশের কোথায় কোথায় বসে মিটিং করছে। টুকু তোমাদের মতো না যে গর্তে ঢুকে যাবে। টুকুর পরিবার কখনো পালায় না, আগেও মানুষের পাশে ছিল, এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন এলাকার নতুন রাস্তায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সিরাজগঞ্জে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে জেলা বিএনপির আয়োজনে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমি যখন বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাই, তখন শুনলাম হাসিনার আদালত আমাকে সাজা দিয়েছে। আমি বললাম- আমি এই রায় মানি না। আমি এখানে থেকেই আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব, দলকে সংগঠিত করতে কাজ করে যাব। আমি পালাইনি, আমি ভয় পাইনি। 

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। নেত্রী পালাইছে আর নেতাদের খবর নাই। আর আমরা জেল-জুলুম হত্যার শিকার হয়েছি, আমরা ঘর থেকে বের হতে পারি নাই, আমরা বার বার নির্যাতিত হয়েছি। কিন্তু আমাদের নেতা পালায়নি। 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে টুকু বলেন, আমি আপনাদের মনের কষ্ট বুঝি। ১৬ বছর নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা বুঝি, কিন্তু বেশি উচ্ছ্বসিত হইয়েন না। আমরা কারো সঙ্গে বেয়াদবি করব না, খারাপ কাজ করব না। যারা করবে তাদের স্থান বিএনপিতে হবে না। ১৬ বছর কে কী করেছে তা আমি জানি, আমার নেতা জানে। এ সময়ে কারা কী করেছে তাদের বিচার হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমি দেখেছি এই সরকার ৭ মার্চের দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিল করেছে। ৭ মার্চ ইতিহাসের কোনো মাইলফলক না। যেদিন জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়েছে, সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণার দিন হতে পারে না। 

এ সময় তিনি ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জুর নাম অনুযায়ী নতুন এই রাস্তার নামকরণ শহীদ রঞ্জু সড়ক দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা এটাকে শহীদ রঞ্জু সড়ক বলবেন বলে জানান।  

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বাচ্চুর পরিচালনায় এবং জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা আমিরুল ইসলাম খান আলিম। 

এছাড়াও বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশির, জেলা বিএনপির সকল সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সকল স্তরের নেতাকর্মী, সকল উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর