নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জালসহ একটি মাছধরা নৌকা জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে আটককৃতদের সবাইকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোররাতে মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড রেগুলেটর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

আটককৃত জেলেরা হচ্ছেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাকিবুল হাসান (২২), মজিবুর রহমান বাদশা (২২), মো. শাকিল (২১), সাইফুল ইসলাম (৩০), সজিব (২৪), রিফাত (২০), জহির ইসলাম (২৮), মো. ইউসুফ (২২) ও আবদুল মান্নান (৪২)।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরসহ সকল নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ সময় ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। অভিযান সফল করতে মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে রেগুলেটর এলাকায় ছোট ফেনী নদীতে মাছ ধরার সময় একটি বোটসহ ৯ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার মিটার কারেন্টজাল জব্দ করা হয়েছে। পরে দুপুরে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী তাদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করে আগামীর জন্য সতর্ক করেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার আজ চতুর্থ দিন। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আগামীর জন্য তাদের সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে ৯ জেলেকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের অর্থদণ্ড করার পর অর্থের টাকা জমা দিয়ে তারা ছাড়া পান। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

হাসিব আল আমিন/এএমকে