নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ভোলার মেঘনা-তেতুঁলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে আরও ১১ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জেলেদের কাছ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৩০ কেজি ইলিশ ও চারটি মাছ ধরা ট্রলার জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ভোররাতে ও গতকাল দিবাগত রাতে ভোলার লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর গ্রাম-সংলগ্ন মেঘনা নদী ও দেবিরচর গ্রাম-সংলগ্ন তেতুঁলিয়া নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলাম। অন্যটি পরিচালনা করেন লালমোহন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এহসানুল হক শিপন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব।

অভিযানে আটক হওয়া ১১ জন জেলে ওই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে অভিযান পরিচালনাকালে ১১ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। অভিযান শেষে পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই ১১ জেলেকে নগদ ৫১ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকগণ। পরে মুলচেকা দিলে ওই ১১ জেলেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, অভিযানে জব্দ হওয়া সাড়ে ১৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে জব্দ হওয়া ৩০ কেজি ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিম-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে জব্দ হওয়া চারটি মাছধরা ট্রলার উন্মুক্ত নিলামের জন্য প্রশাসনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর থেকে সরকার ঘোষিত মাছধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে, শেষ হবে আগামী ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ স্বীকারের সময় গত পাঁচ দিনে ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে মোট ৪১ জেলেকে আটক করেছে প্রশাসন। আটক হওয়া জেলেদের মধ্যে একজনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ৪০ জনকে অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এএমকে