সাজাপ্রাপ্ত বিপুল খাঁন ও আমিনুল ইসলাম খাঁন

লালমনিরহাটে বহুল আলোচিত যুবলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম বুলেট হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে এ রায় দেন লালমনিরহাট আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদিব আলী।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজিরচওড়া গ্রামের হায়দার খানের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম খাঁন, একই গ্রামের মজিদুল ইসলাম ওরফে মজনু চোর ও ফজলে খাঁনের ছেলে বিপুল খাঁন। তারা তিনজনই পলাতক রয়েছেন।

নিহত ফখরুল ইসলাম বুলেট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর এলাকার স্কুলশিক্ষক এনামুল হকের ছেলে। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যার পর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম বুলেটকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজারের খান মার্কেটের একটি দোকানে ডেকে নেন আমিনুল ইসলাম খাঁন। এ সময় তার হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে পুরো শরীর রক্তাক্ত জখম করা হয়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় বুলেটকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন ২৮ জুন বুলেটের বাবা এনামুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই একজনকে অব্যাহতি দিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সদর থানার ওসি (তদন্ত) প্রদীপ কুমার রায়। পরবর্তীতে এ মামলার একজন আসামি মারা যান। বাকী ৯ জন আসামির ওপর অভিযোগ নিয়ে মামলার দীর্ঘ শুনানি চলে। অবশেষে বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদিব আলী।

রায়ের সময় সাজাপ্রাপ্তরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিসহ গ্রেপ্তারের দিন থেকে সাজা গণনা করা হবে বলে জানানো হয়। এ মামলায় বাকি ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত। যার মধ্যে তিনজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন- আব্দুল মালেক, একরামুল হক ও মিঠু।

লালমনিরহাট আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাজাপ্রাপ্তদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট থানায় এবং বেকসুর খালাস প্রাপ্তদের কাগজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এমজেইউ