রাজশাহীতে ভোক্তারা নিজেদের আনা খাদ্যের নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করতে পারবেন। ফলে ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যপণ্য হলে পরীক্ষার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল জানা যাবে ‘ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার’এর মাধ্যমে। রাজশাহী বিভাগের জন্য এমন পরীক্ষাগার চালু করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর তার কার্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে ভোক্তারা বিনামূল্যে খাদ্য পরীক্ষার সুবিধা পাবেন।

বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। দিনে পরীক্ষাগারটি যেখানে দরকার সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। আর রাতে রাজশাহী সার্কিট হাউসে রাখা হবে। রাজশাহীর বাইরের কোনো জেলায় সর্বোচ্চ দুই দিন পর্যন্ত রাখা যাবে এ পরীক্ষাগার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প থেকে ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর দায়িত্বে থাকবেন জেলার নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা। কোন দিন বিভাগের কোন জেলায় এ পরীক্ষাগার থাকবে, তার একটি সূচি মাসের শুরুতেই তৈরি করা হবে। রাজশাহী ছাড়া বিভাগের অন্য কোনো জেলায় পরীক্ষাগারটি একবার গিয়ে দুই দিনের বেশি থাকবে না। দিনে প্রয়োজনীয় স্থানে পরীক্ষাগারটিকে নিয়ে যাওয়া হবে আর রাতে রাখা হবে সার্কিট হাউসে।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন জানান, যেসব এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বেশি বিক্রি হয়, সেসব এলাকায় এই পরীক্ষাগার নিয়ে যাওয়া হবে। খাদ্যপণ্য পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিকভাবে ভোক্তাকে ফলাফল জানানো হবে। খাদ্যপণ্যে ভেজাল পাওয়া গেলে ধ্বংস করা হবে। পাশাপাশি ওই সব খাদ্যপণ্য কেনা থেকে বিরত রাখতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হবে।

ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সাল মাহমুদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আনোয়ারুল কবীর, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মাহমুদুল ফারুক, বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন প্রমুখ।

শাহিনুল আশিক/এমজেইউ