গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘যুবদল নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের হয়রানির অভিযোগ’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজির আকন। প্রতিবাদে তিনি উল্লেখ করেছেন, বসতঘরে হামলা, চাঁদা দাবি ও মারধরের যে অভিযোগ প্রকাশিত সংবাদে তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা তথ্যগত বিভ্রান্ত ও অসত্য। প্রকৃতপক্ষে কোনো বসতবাড়িতে হামলা, চাঁদাবাজি ও মারধরের মতো কোনো ঘটনা নজির আকন করেননি। এর প্রধান সাক্ষী এলাকার সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ। কোথাও তার বিরুদ্ধে কেনো অভিযোগ নেই। তিনি একজন সাধারণ ব্যবসায়ী।

নজির আকনের ভাষ্য, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্যদানকারী সাদ্দাম হোসেন ও তার বড় ভাই আউয়াল ২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হয়ে বিগত ১৫ বছর স্থানীয় গরিব, অসহায় ও বিএনপি কর্মীদের ওপর জুলুম, নির্যাতন, অন্যের জমি, ঘের, পোষাপ্রাণী নিয়ে যাওয়াসহ নানা অপকর্ম করতো। তাদের ছিল এক বাহিনী, নাম ‘সাদ্দাম বাহিনী’। সেই সময়ে তাদের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসীর পক্ষে কথা বলায় আমার (নজির আকন) বিরুদ্ধে তখন মামলা হামলা করেছে। এখন ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তারাসহ স্থানীয় একটি গোষ্ঠী সংঘবদ্ধভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিচ্ছে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

‘যুবদল নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের হয়রানির অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য উত্থাপন করা হয়নি। প্রতিবেদনে চারটি ঘটনা তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন, যার কপি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত। এছাড়া অন্য দুটি ঘটনায় প্রশাসনের শরণাপন্ন না হলেও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের দেওয়া তথ্য সংবাদে তুলে ধরা হয়েছে। যার রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।  

সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করে অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজির আকনের বক্তব্য প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়। ওই বক্তব্যে তার এক প্রতিবেশীর সঙ্গে পূর্ব দ্বন্দ্বের কথা স্বীকারও করেন তিনি এবং নজির আকন যে বক্তব্য দিয়েছেন তা হুবহু তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।

শুধু তিনি নন উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতার মতামত এবং সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বক্তব্যও যুক্ত আছে। অর্থাৎ উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন বা কাউকে হেয় করার জন্য প্রতিবদেনটি প্রকাশিত হয়নি।

আরএআর