২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে গাইবান্ধায় একটি কলেজ থেকে টানা দুই বছর পাস করেনি কেউ। 

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ওই কলেজ সূত্রে ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজনও পাস না করা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ফকিরহাট মহিলা কলেজ।

জানা গেছে, বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা নিয়ে ২০০০ সালে চালু করা হয় জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার ফকিরহাট মহিলা কলেজ। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থেকে প্রতিষ্ঠানটি আবারো ২০১৬ সালে চালু করা হয়। সর্বশেষ ওই কলেজ থেকে ২০২৪ সালে দুইজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এইচএসসি পরীক্ষায় চূড়ান্ত ফলাফলে তাদের কেউই পাস করেনি।

ওই দুই পরীক্ষার্থীর দুজনই মানবিক বিভাগ থেকে পরিক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন নিয়মিত ও একজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন। এর আগে ২০২৩ সালেও একই কলেজ থেকে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী একই বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। এবার তিনিও ফেল করেন।

ফকিরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবার রশিদ মুঠোফোনে বলেন, "২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরিক্ষায় এই কলেজ থেকে দুইজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তারা দুইজনেই ফেল করেছে। তারা দুজনই মানবিক বিভাগের। তাদের মধ্যে একজন নিয়মিত এবং একজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন।

টানা দুইবার এই পরীক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হওয়ায় অধ্যক্ষ বলেন, ২০০০ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাঝখানে বিভিন্ন কারণে বন্ধ থাকার পর আবার ২০১৬ সালে চালু করা হয়। এরপর ফলাফল ভালোই ছিল। বর্তমানে শিক্ষার্থী ফেল করার বড় কারণ প্রতিষ্ঠাতার ব্যাপক দুর্নীতি। প্রতিষ্ঠাতার দুর্নীতির কারণে কলেজটি বন্ধ থাকে। 

এসময় আক্ষেপ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ভর্তি করবেন কীভাবে? কলেজ তো বন্ধ করেছে। কয়েক বছর আগে শতভাগই পাশ করতো। ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষক ছিল, এখন অনেকেই আসেন না। দুর্নীতির ওইসব বিষয়ে কয়েক দফায় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করা হয়েছে। কোনো প্রতিকার মেলেনি। কর্মচারীরা অভিযোগ দিয়েছেন, জমিদাতারাও অভিযোগ করেছেন। কোনো কাজ হয়নি। এভাবে থাকতে থাকতে একসময় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠানটি হতে ২০২৫ সালের আগামী এইচএসসি ও সমমান পরিক্ষায় একজন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে দিনাজপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গাইবান্ধা জেলা। এই জেলার পাসের হার ৭৬.৮০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪৯৮ জন শিক্ষার্থী।

রিপন আকন্দ/পিএইচ