খালেদা জিয়ার জনসভায় গুলি, ১০ বছর পর থানায় অভিযোগ
গাজীপুরে ২০১৪ সালে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভায় গুলি ও জনসভা পণ্ড করার অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, সাবেক ডিবিপ্রধানসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
বাসন থানা বিএনপির সভাপতি মো. তানভীর সিরাজ বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জিএমপির বাসন থানায় অভিযোগটি দাখিল করেন।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে বিএনপি এক জনসভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়ার। কিন্তু সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ডিবিপ্রধান (গাজীপুরের তৎকালীন এসপি) হারুন অর রশীদ ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ২০০ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের জনসমাবেশ অংশ নিতে বাধা দেয়। এ সময় তারা জনসভায় আগত হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে ধাওয়া করে এবং এলোপাতাড়ি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। তারা হামলা চালিয়ে জনসভার জন্য নির্মিত সভার চেয়ার, টেবিল, মাইক ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যাচার করে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেয় ও জনসভা পণ্ড করে দেয়।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, তৎকালীন জয়দেবপুর থানায় এ ঘটনায় এজাহার দায়ের করতে গেলে অফিসার ইনচার্জ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তা গ্রহণ করেনি।
জিএমপির বাসন থানার ওসি রাহেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিহাব খান/এমজেইউ