যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছেন। তবে পাস করতে পারেননি সাতটি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) যশোর বোর্ডে ঘোষিত ফলাফল পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছর ২০২৩ সালে যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর এ বোর্ডে পাসের হার কম।

এবারের পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং ৭৮ হাজার ৭৬৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর ২০২৩ সালে জিপিএ ৫-এর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৯৬২। এ ছাড়াও অকৃতকার্য হয়েছেন ৪৩ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষার্থী।

১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী পাস

শিক্ষাবোর্ড ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যশোরের চৌগাছায় অবস্থিত এস এম হাবিবুর রহমান পৌর কলেজ। এই কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অবতীর্ণ ১২৭ শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন।

এ ছাড়া খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার প্রতিষ্ঠান ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের ৬১, খালিশপুরের নেভি অ্যাঙ্কারেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫৯ এবং ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন।

শতভাগ পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে—যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর মহিলা কলেজ, নড়াইলের গোবরা মহিলা কলেজ, যশোরের কেশবপুরের তিতা বাজিতপুর এম কে বি মহিলা কলেজ, ঝিকরগাছার বাঁকড়া হাজিরবাগ মহিলা আইডিয়াল কলেজিয়েট স্কুল, খুলনার কয়রা উপজেলার হাড্ডা পাবলিক কলেজ, সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ, সাতক্ষীরা সদরের গোবরদাড়ি জরদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যশোরের চৌগাছা উপজেলার মাড়ুয়া ইউসুপ খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কুষ্টিয়া সদরের সুনুপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সব পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।

পাস করেননি ৭টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী

এবার যশোর বোর্ডের সাতটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। এই সাতটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮ জন এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে তারা কেউই পাস করতে পারেননি। 

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—মেহেরপুরের মড়কা জাগরণ কলেজ, খুলনার মডেল মহিলা কলেজ, একই জেলার শাপলা কলেজ, সাতক্ষীরার আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজ, মাগুরার গোপীনাথপুর এম এ খালেক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যশোরের নেঙ্গুড়াহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঝিনাইদহের নাজির উদ্দিন ইসলামিয়া কলেজ।

মোহাম্মদ মিলন/এএমকে