এইচএসসি পরীক্ষার ঘোষিত ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ। এ বোর্ডের আওতাধীন ছয়টি জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা। বিপরীতে তলানিতে রয়েছে ফেনী।

কুমিল্লা জেলায় এবার পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। অপরদিকে ৬১ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাসের হার নিয়ে তালিকার একেবারে নিচে ফেনীর অবস্থান। তালিকায় কুমিল্লার পরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। এ জেলায় পাসের ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল বিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। পরে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী, এই ছয়টি জেলার সমন্বয়ে গঠিত।

এবারের এইচএসসির ফলাফলে কুমিল্লা জেলায় পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, নোয়াখালীতে ৬৬ দশমিক ৬০ শতাংশ, ফেনীতে ৬১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, লক্ষ্মীপুরে ৬৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, চাঁদপুরে ৭১ দশমিক ৯৬ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

নোয়াখালী থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নেন ১৯ হাজার ৮৭১ জন। তাদের মধ্যে পাস করেন ১৩ হাজার ২৩৫জন। এ জেলা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮০০জন। ফেনী থেকে ১০ হাজার ৯৩৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ৬ হাজার ৭৪১জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৩৯ জন। লক্ষ্মীপুর থেকে ১১ হাজার ৫৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ৭ হাজার ২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৮২জন। চাঁদপুর থেকে ১৫ হাজার ৯০৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ১১ হাজার ৪৪৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৮৫জন।

কুমিল্লায় ৩৯ হাজার ৩২১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ৩০ হাজার ১০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮৫জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ১৫ হাজার ২২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন, তাদের মধ্যে পাস করেন ১১ হাজার ৪৬৯ জন পরীক্ষার্থী। এ জেলা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৩১ জন।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছেন। অপরদিকে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করতে পারেননি।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার ফলাফলের অনেকগুলো প্রতিকূলতা পার করতে হয়েছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি এবার আন্দোলনের কারণে সম্পূর্ণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। যার প্রভাব পড়েছে পরীক্ষায়ও।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষকদের দক্ষতা বিষয়ে আরও বেশি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে যেন সামনের দিনগুলোতে ফলাফল আরও ভালো করা যায়। আমরা সেই লক্ষ্যে অগ্রসর হব।

আরিফ আজগর/এমজেইউ