এবছর রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ১২ কলেজের কেউ পাস করেনি। ফলে কলেজগুলোতে শত ভাগ ফেল করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাবোর্ডের ওই ১২ কলেজের মোট ৪৬ জন পরীক্ষার্থী এইচএইসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। শিক্ষাবোর্ডে এবছর এইচএসসিতে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯০২ জন শিক্ষার্থী।

শতভাগ ফেল করা কলেজের মধ্যে রাজশাহী জেলায় একটি, বগুড়ায় রয়েছে দুটি, নাটোরে ৪টি, নওগাঁয় একটি, সিরাজগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি করে মোট চারটি কলেজ রয়েছে। শিক্ষাবোর্ডে শতভাগ ফেল করা কলেজের সংখ্যায় নাটোর জেলায় বেশি।

শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় শতভাগ ফেল করা কলেজ রয়েছে দুটি। এরমধ্যে সারিয়াকান্দির নিজবোলাইল এন কলেজ। এই কলেজ থেকে এবছর ১৬ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। গাবতলির বাগবাড়ি মহিলা কলেজ থেকে এবছর সাতজন পরীক্ষা অংশ নিয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।

নাটোর জেলায় শতভাগ ফেল করা কলেজের সংখ্যা চারটি। এগুলোর মধ্যে গুরুদাসপুরের দুর্গাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ছয়জন, নাটোর সদরে বেগম খালেদা জিয়া কলেজ থেকে চারজন, নলডাঙ্গায় সারকুটিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে দুইজন, বাগাতিপাড়ার তমালতলা ইউমেন্স কলেজের দুইজন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন। 

রাজশাহীর তানোর মুন্ডুমালা গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন পরীক্ষা দিয়ে একজনই অকৃতকার্য হয়েছে। এ ছাড়া নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকমদেব আদর্শ কলেজের দুই শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছে। অপরদিকে, সিরাজগঞ্জের ছনটগাছা মহিলা কলেজের দুইজন ও এই জেলার চাতিয়ানটোলি মোরগ্রাম টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের দুই শিক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় দুইটি কলেজ থেকে মাত্র দুইজন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে সদরের শফিউর রহমান আইডিয়াল কলেজের একজন ও নবাবগঞ্জ সদরের চক ঘাগড়ু উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এক। তাই দুইজনই অকৃতকার্য হয়েছে।

শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে গত বছর (২০২৩) শতভাগ ফেল করা কলেজের সংখ্যা ছিল চারটি। তার আগের বছর ২০২২ সালে ছিল ৯টি। এ ছাড়া ২০২১-২০২০ সালে শতভাগ ফেল করা কলেজের সংখ্যা না থাকলেও ২০১৯ সালে ছিল সাতটি কলেজ। তবে ২০১৮ সালে শতভাগ ফেল করা কলেজের সংখ্যা ছিল ছয়টি।

এ বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অলিউল আলম বলেন, ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। একই সঙ্গে শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হবে এমন ফলাফলের বিষয়ে।

শাহিনুল আশিক/এএমকে