রাজশাহী বোর্ডে এইচএসসিতে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসিতে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯০২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অলিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অলিউল আলম বলেন, এ বছর শতভাগ পাশ করেছে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীরা। শতভাগ ফেল করেছেন এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১২টি। এবার পাস করেছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৪৪৮ জন। পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছাত্ররা এগিয়ে।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৩০ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি পরীক্ষা। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আওতায় বিভাগের আট জেলায় এবার পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৩ জন। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ৭১ হাজার ৮১৭জন ছাত্র, ৬৫ হাজার ৩৬৭ জন ছাত্রী অংশ নেন। এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ হাজার ৯০২ জন ছাত্র-ছাত্রী। এরমধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১০ হাজার ৩০৫ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৫৯৭ জন।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অসৎউপায় অবলম্বরে ২৪ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া এক বিষয়ে অকৃতকার্যের হার গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর ছিল ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ বছর তার হার ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ বছর ২০৩ টি কেন্দ্রে ৭৪১টি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন।
জানা গেছে, এ বছর এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর প্রথমে ১১ আগস্ট ও পরে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে আগস্টে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবারের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিলেন, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
শাহিনুল আশিক/আরকে/এএমকে