নিখোঁজের ২১ ঘণ্টা পর নদী থেকে সেই বাবার মরদেহ উদ্ধার
নওগাঁর ছোট যমুনা নদী থেকে চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী (৬২) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের বাইপাস ব্রিজ এলাকায় ডুবে থাকা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরি দল। গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ছোট যমুনা নদীর দহের ঘাট এলাকায় নৌকা থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
নিহত চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী শহরের পার নওগাঁ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। চাল ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের আড়তে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতেন তিনি। নিখোঁজের ২১ ঘণ্টা পর চিত্তরঞ্জনকে উদ্ধারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী।
বিজ্ঞাপন
নিহতের পরিবার ও থানা পুলিশের তথ্যমতে, রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে শহরের আলুপট্টি এলকার পার-নওগাঁ বারোয়ারী সার্বজনীন পূজা মণ্ডপের নৌ বিহারে অংশ নিতে নৌকায় উঠেছিলেন চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী। নৌ বিহার শেষে সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের সময় চলন্ত নৌকা থেকে পানিতে পড়ে যান তিনি। পানিতে পড়ে যাওয়ার বিষয়টি নজরে এলে তাৎক্ষণিক নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন চিত্তরঞ্জনের ছেলে গৌড় চক্রবর্তী। তবে দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর একপর্যায়ে গৌড়কে ব্যর্থ হয়ে নদী থেকে উঠে আসতে হয়। ওইদিন রাত ১১টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তীর সন্ধান পায়নি নওগাঁর ডুবুরি দল। সর্বশেষ সাড়ে ১১টা থেকে তাকে খুঁজতে কাজ শুরু করে রাজশাহী থেকে আসা বিশেষ ডুবুরি দল। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে আবারও চিত্তরঞ্জনকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে ডুবুরি দল। দীর্ঘ সময়ের প্রচেষ্টায় বিকেলে বাইপাস ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ডুবন্ত তাকে অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, নিখোঁজের ২১ ঘণ্টা পর ছোট যমুনা নদীতে ডুবে থাকা চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে রাজশাহী থেকে আসা বিশেষ ডুবুরি দল। পরে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
আরমান হোসেন রুমন/আরএআর