ভুক্তভোগী তাওহীদুল ইসলাম শুভ

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় তাওহীদুল ইসলাম শুভ নামে এক সাংবাদিককে সংবাদ প্রকাশ করলে মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ১৪৩ নং মানিকখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ভুক্তভোগী তাওহীদুল ইসলাম শুভ বর্তমানে বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভির পাথারঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আরটিভির উপজেলা প্রতিনিধি তাওহিদুল ইসলাম শুভ একটি নিউজের কাজে পাথরঘাটার ১৪৩ নং মানিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। এ সময় তিনি সেখানে কিছু অনিয়মের প্রমাণ পান। পরে সাংবাদিক শুভ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে জানতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদকে তার মোবাইল ফোনে কল করে অবহিত করেন। এ সময় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক শুভর কাছে জানতে চান কার অনুমতিতে কেন তার স্কুলে গিয়েছেন তিনি।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করে নিউজের কাজে সাংবাদিক শুভ ওই স্কুলে গিয়েছেন, একথা শোনার পরও প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ শুভকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এছাড়াও পরে আর কখনো ওই স্কুলে গেলে এবং স্কুলের বিরুদ্ধে কোনো নিউজ করলে সাংবাদিক শুভর নামে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ। 

ভুক্তভোগী সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম শুভ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে মানিকখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাই। এ সময় প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ মাসে দু-একদিন স্কুলে এসে পুরো মাসের স্বাক্ষর দিয়ে চলে যাওয়ার প্রমাণ পাই। এছাড়াও ওই স্কুলে ৫ জন শিক্ষক নিয়মিত উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সেখানে পালাক্রমে ২ জন শিক্ষক উপস্থিত থাকেন। এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এছাড়া তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ নিউজ প্রকাশ করলে মারধরের হুমকি দেন।

শুভ বলেন, স্কুলের অনিয়মের নিউজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা রয়েছেন তারা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সে বিষয়ে বক্তব্য সংগ্রহ করি। পরে তা জানতে পেরে পুনরায় আমাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে নিউজ বন্ধ করতে চাপ দেন করেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ।

অভিযোগের সত্যতা জানতে পাথরঘাটার মানিকখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম শুভ হুমকির বিষয় জানিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আব্দুল আলীম/আরএআর