সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল তালুকদার মোহাম্মদ মাহমুদ রেজা বলেন, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে আমরা রাজবাড়ী জেলায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত ২৫/২৬ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। আমরা এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। 

আজ (সোমবার) সকালে রাজবাড়ীতে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল তালুকদার মোহাম্মদ মাহমুদ রেজা আরও বলেন, রাজবাড়ী জেলায় আরও একটি সমস্যা রয়েছে সেটা হচ্ছে মাদক। জেলায় মাদকের ছড়াছড়ি, বিশেষ করে গোয়ালন্দ উপজেলায় ও রাজবাড়ী সদরে। আমরা এই দুটি স্থানে দেখতে পেয়েছি অনেক কিশোর ও যুবক যাদের এই বয়সে পড়ালেখা করার কথা, দেশের উন্নয়নে কাজ করার কথা তারা মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। আমরা জেলায় মাদক নির্মূলে কাজ করছি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্ধার্থ ভৌমিক। উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরীফ আল রাজীব, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম টিটন, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস এম এ হান্নান, জেলা আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মোস্তারী জাহান ফেরদৌস।  

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটছে। আমরা ঘটনাগুলোর রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। রাজবাড়ী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মাদক উদ্ধার, সড়কে ডাকাতি বন্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ছাড়াও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। আশা করছি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। 

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি জেলার আইন-শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সিন্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ কমিটি। বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ পেট্রোলিং অব্যাহত রয়েছে। তারা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তারা কাজ করবে। 

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এনএফ