কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় এক বাবার বিরুদ্ধে ৫ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে কুপিয়ে হত্যার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার পর মরদেহ একটি জঙ্গলে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিলেন বাবা। সেখান থেকে ঘটনার দুদিন পর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

রোববার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার জোড়কানন পূর্ব ইউনিয়নের নির্ভয়পুর গ্রামের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০৯৩ নম্বর পিলারের বাংলাদেশ অভ্যন্তর থেকে নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা তাজুল ইসলামকে (৪২) স্থানীয়রা আটক করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। 

নিহত শিশুটির নাম মারিয়া সুলতানা (৫)। তার মায়ের নাম রেহানা আক্তার। তাজুল ইসলাম স্ত্রীর ও সন্তানকে নিয়ে নির্ভয়পুর গুচ্ছ গ্রামে থাকতেন।

রোববার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববার বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলার নির্ভয়পুর গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত পিতা তাজুল ইসলামকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে বাড়ির আশের ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবির সহায়তায় মাটিচাপা দেওয়া মারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ঘাতক বাবা তাদের ইসলাম পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। 

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাজুল ইসলাম পুলিশকে জানায়, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে শিশু মারিয়াসহ তিনি গাছের চারা রোপণ করতে যান। একপর্যায়ে মেয়েকে একটি গাছের ডাল নিয়ে আসতে বলেন তিনি। সে কথা না শুনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা দা দিয়ে গলার ডান পাশে কোপ দিলে মেয়ে মারিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে জঙ্গলে মাটিচাপা দিয়ে বাড়িতে চলে যান তিনি। এরপর প্রচার করতে থাকেন মেয়েটি হারিয়ে গেছে। 

এদিকে, রোববার স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহজনকভাবে তাজুল ইসলাম আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা শিকার করেন। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা রেহানা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরিফ আজগর/এমএসএ