পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মোতালেব আকনকে (৭০) হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এতে তিনি পঙ্গু হয়ে যান। এ ঘটনার ১০ বছর পর মামলা করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল মোতালেব আকন। 

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে সদর থানায় মামলাটি করা হয়েছে। এর আগে গত ৩ অক্টোবর আদালতে মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী ওই বিএনপি নেতা। পরে আদালত থানায় মামলার নির্দেশ দেন। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুল মোতালেব আকন সদর উপজেলার মুলগ্রামের মৃত মো. নেজাল উদ্দিনের ছেলে।
 
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা এলিজা জামানের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন আব্দুল মোতালেব আকন। ওই নির্বাচনে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত ভেবে বিএনপির প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়ক মোতালেব আকনকে হত্যার পরিকল্পনা করে প্রতিপক্ষ। ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুল মোতালেব আকন নির্বাচনী প্রচারণা শেষে মাইক্রোবাসে করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় তার বাড়ির সামনে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে হত্যা নিশ্চিত ভেবে বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এতে তার মেরুদণ্ডসহ পাঁজরের হাড় কেটে যায়। ওই হামলার পর তার বুকের নিচ থেকে পুরো অংশ অচল হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই সময় তিনি মামলা করতে চাইলে পুলিশ তার মামলা নেয়নি। এমন কি হামলাকারীরা তার সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের খুন করবে বরে হুমকি দেয়।

আব্দুল মোতালেব আকনের ছেলে মো. সাব্বির হোসেন বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে বাবাকে পঙ্গু হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে হচ্ছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, মোতালেব আকন দলের একজন নিবেদিত নেতা। তাকে  নির্বাচনী প্রতিহিংসার জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে পঙ্গু করা হয়েছে। তখন মামলা করতে চাইলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এখন আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় গত শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

শাফিউল মিল্লাত/আরএআর