ময়মনসিংহে প্রবীণ সাংবাদিক ও তারাকান্দা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি স্বপন কুমার ভদ্র (৬৫) খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সাগর (২০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে ঘটনার বর্ণনা দেন।   

রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল সদর আদালতে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সবিতা রাণী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত সাগরকে একমাত্র আসামি করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান।

মামলার বাদী সবিতা রানী অভিযুক্ত সাগরের ফাঁসি দাবি করে বলেন, আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা হোক।

থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযুক্ত আটক সাগর (২০) এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি মাদক সেবনের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় জড়িত। মামলার প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাদক-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক স্বপন ভদ্রের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন আসামি সাগর। মূলত ওই ঘটনার জের ধরেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটান আসামি সাগর।

এর আগে, গত শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় শম্ভুগঞ্জের মাঝিপাড়ার টানপাড়া এলাকায় নিজ বাসার সামনে বসে থাকা অবস্থায় ওই সাংবাদিকের মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়। তিনি একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। এ ছাড়াও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এলাকার বিভিন্ন ঘটনা ও বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করতেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত স্বপন ভদ্র দাম্পত্য জীবনে তিন সন্তানের জনক। এর মধ্যে ছেলে দুইজন এবং একজন মেয়ে রয়েছে। ছেলেদের একজন ঢাকায় ব্যবসা করেন এবং অপরজন সেনাবাহিনীতে কর্মরত।

মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এএমকে