ঝিনাইদহে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শারদীয় উৎসব। ঢাকের বাজনার সঙ্গে চলছে দেব-দেবীর আরাধনা। শেষ মুহূর্তে জেলার সবচে বড় পূজামণ্ডপ বারোয়ারিতে উপচেপড়া ভিড় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। বিশেষ করে সব বয়সী নারীরা এসেছেন দেব-দেবীকে পূজা দিতে। 

রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে শহরের বারোয়ারি, চাকলাপাড়া, পবহাটির বাবুপাড়া, হামদহ ও সদর উপজেলার বংকিরাসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দশমীর শেষ দিনে সিঁদুর খেলায় মাতেন সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা। 

সরোজমিনে দেখা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে ঝিনাইদহে সিঁদুর খেলায় মেতেছেন নারীরা। সকালে পূজা অর্চনার পর দেওয়া হয় পুষ্পাঞ্জলি। এরপরই হিন্দু বিবাহিত নারীরা দেব-দেবীর পায়ে লাল টকটকে সিঁদুর নিবেদন করেন। সেই সিঁদুরের আঁচড় মুখে লাগিয়ে একে অপরকে আগামী দিনের জন্য শুভ কামনা জানান। সেই সঙ্গে স্বামী-সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন তারা।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এ বছর জেলায় মোট ৪৩৫টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলাতে ১০৩টি, শৈলকুপায় ১২৩টি হরিণাকুন্ডুতে ২৭টি, কালীগঞ্জে ৯৯টি, কোটচাঁদপুরে ৪১টি ও মহেশপুরে ৪২টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে। এসব মণ্ডপের মধ্যে প্রশাসন থেকে ৫৯টি পূজামণ্ডপে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

পূজা দিতে আসা সীমা রানী বলেন, শাস্ত্রমতে তো দেবীকে ধরে রাখার কোনো সুয়োগ নেই, তাই দেবীকে বিদায় জানাতে বিজয় দশমীর দিনে মণ্ডপে হাজির হয়েছি। 

ঝিনাইদহ পূজা উদযাপন পরিষদের নির্বাহী সদস্য চন্দন বসু মুক্ত ঢাকা পোস্টকে বলেন, মা দুর্গার আশীর্বাদে এ বছর জেলার সকল পূজামণ্ডপে আড়ম্বর করে পূজা উদযাপন হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। ধর্মীয় শাস্ত্রমতে দশমী শেষে মা দুর্গাসহ সকল দেব-দেবীকে বিদায় জানাতে হবে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরএআর