নোয়াখালীর সদর উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মজুত রাখায় ২০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। তারপর মাছগুলো স্থানীয় দুটি ইয়াতিম খানায় বিতরণ করা হয়।  রোববার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে পৌর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল।

জানা যায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ এর প্রথম দিনে পৌরবাজারসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন মাছ বাজার পরিদর্শন করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল। পৌরবাজারে অভিযান পরিচালনার সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মজুত রাখা প্রায় ২০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয় এবং পরবর্তীতে তা বাহতুন নুর আশ্রাফিয়া মাদরাসা ও তালিমুল কোরআন মাদরাসার এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।

বাহতুন নুর আশ্রাফিয়া মাদরাসার শিক্ষক সায়েম মো. ওমর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইলিশের দাম এত বেশি যে মাদরাসায় ইলিশ খাওয়াটা স্বপ্নের মতো। মৎস্য কর্মকর্তা আমাদের মাদরাসার এতিমখানায় ইলিশ মাছ দিয়েছেন। এগুলো বড় পাওয়া। ছাত্ররা অভিযান হলে কেবল ইলিশের দেখা পায়। তা না হলে সাধ্য নেই ইলিশ খাওয়ার।

সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার আজ প্রথম দিন। আজ ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং জব্দকৃত ২০ কেজি ইলিশ ইতিমখানায় বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মা ইলিশ বা জাটকা ধরে ফেললে আগামী বছর ইলিশের উৎপাদন কমে যাবে। ইলিশের উৎপাদন কমে গেলে যারা ইলিশ আহরণ করে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বড় ইলিশ উৎপাদন হলে যারা এখন ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত তারাই সে সময় লাভবান হবেন। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর