প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. মো. রেয়াজুল হক বলেছেন, গত ১০০ বছরের নোয়াখালীবাসী এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখেনি। ক্ষতিগ্রস্ত যা হয়েছে তা অপরিসীম। পুনর্বাসনের নানা পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। আশাকরি এতে করে খামারীরা ঘুরে দাঁড়াবে এবং অর্থনীতির চাকা সচল হবে। 

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চর এলাহী ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের মাঝে খাদ্য বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

এর আগে তিনি সেনবাগ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, কেবল নোয়াখালী জেলায় নয় আমাদের প্রথম ধাপের সহায়তা ফেনী ও কুমিল্লা জেলা পেয়েছে। আমরা চাই খামারিরা আবার ঘুরে দাঁড়াক। সেজন্য আমিরা তিন ধাপে পরিকল্পনা নিয়েছি। এগুলো হলো শর্ট, মিড এবং লং টার্ম পরিকল্পনা। ইতোমধ্যে আমরা শর্ট পরিকল্পনা শেষ করেছি। মিড টার্মে আমাদের পরিকল্পনা চলছে সে অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। লং টার্ম পরিকল্পনার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কাজ করছে।

খামারিদের ঋণের বিষয়ে সকল সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে উল্লেখ করে ডা. মো. রেয়াজুল হক বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খামারিরা ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। তারা যেন বিনা শর্তে ঋণ পায় সেজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কাজ করছে। খামারিদের জন্য সুদ যেন মওকুফ, কিস্তি পরিশোধের সময় লম্বা করা, ঋণ রিশিডিউল করার আলাপ হয়েছে। 

তিনি বলেন, খামারিরা সম্মানিত মানুষ। তাদের জন্য সরকারি সহায়তা একটা সম্মান। এগুলো কিন্তু পর্যাপ্ত নয়। এটির মাধ্যমে তারা সাহস পাবে। আজ খাদ্য বিতরণের পাশাপাশি ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প ও ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম হয়েছে। এছাড়াও ঘাসের চারা বিতরণ করা হয়েছে। এমন কার্যক্রম আমাদের অব্যাহত থাকবে। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ফেনী, পানিতে তলিয়ে গেছে মাট ঘাট ফসলি জমি সহ অসংখ্য পশুপাখি ও হাস মুরগির খামার। এতে প্রায় ৫শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা তাদের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছি। ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের পর পুনর্বাসনের সহযোগিতা নিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, সেনবাগ উপজেলার নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিনসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। 

হাসিব আল আমিন/এমএসএ