ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল বিভাগে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১০৮ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ জন, আর আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৭২ জন।

শনিবার (১২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের অজুফা বেগম (৪৫) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ অক্টোবর ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার বাসিন্দা কহিনূর বেগম (৪০) ৭ অক্টোবর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ১১ অক্টোবর তারা দুজনে মারা যান।

বিভাগে মোট মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে শেবাচিম হাসপাতালে ২০ জন, বরগুনায় ২ জন, পটুয়াখালীতে ২ জন, ভোলা ও পিরোজপুরে একজন করে।

এ ছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩ হাজার ৬৭২ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনায় ১০২৬ জন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৮১, বরিশালের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে ৪৪৮, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭২, পটুয়াখালীর অন্যান্য হাসপাতালে ৩৮৮, ভোলায় ৩৫৭, ঝালকাঠিতে ৯৯ ও পিরোজপুরে ৫০১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এরমধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ফিরেছেন, ৩,৩১৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৩০ জন।

ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের দ্রুততার সঙ্গে এবং অধিক গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে নির্দেশনা দেওয়া আছে। মূলত বর্ষাকালেই ডেঙ্গুর উপদ্রুপ বাড়ে দেশে। তারই অংশ হিসেবে বরিশাল বিভাগেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে চিকিৎসার পাশাপাশি এডিস মশা যেন না জন্মাতে পারে সেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত। অর্থাৎ জনসচেতনতা না বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে