খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, যারা এত দিন গুম-খুন আর আয়নাঘরের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল, তারা যদি পুনর্বাসিত হয় তাহলে এ দেশে আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না। পতিত স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসিত হলে এই দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি। এখানে গণতন্ত্র, কথা বলা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চিরদিনের জন্য গোরস্থানে চলে যাবে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর বড় বাজার কালিবাড়ি মন্দির, হেলাতলা পূজাম-প, ধর্মসভা মন্দিরসহ বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ‘অসুর’ শক্তির পতন হয়েছে। দেবী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছে পৃথিবীতে অসুর শক্তিকে বধ করার জন্য। মানুষে মানুষে ভাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার জন্য। হিংসা, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসাকে দূর করে ভালোবাসার প্রেমের সমাজ নির্মাণ করার জন্য। আজকে সেই সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। অতীতে যেমন আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আপনাদের প্রতিটি সমস্যায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছি, ঠিক একইভাবে আগামীতেও আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব। এ দেশটা কারও একার না। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম, বাংলাদেশকে আমরা সত্যিকার অর্থেই একটা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণ করব। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। একজনের প্রতি অন্যজনের যে সহমর্মিতা, এটা অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।

পরিদর্শনকালে পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিবপদ, বাপ্পি, ধীরেন্দ্রনাথসহ অন্যান্যরা খুলনা বিএনপির নেতাদের শুভেচ্ছা জানান এবং কুশল বিনিময় করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, আনোয়ার হোসেন, ইশহাক তালুকদার, রবিউল ইসলাম রবি, মিজানুজ্জামান তাজ, ইকবাল হোসেন, শামীম আশরাফ, রাজিবুল আলম বাপ্পি, শামীম খান, মোস্তফা জামান মিন্টু, শাকিল আহমেদ, মাহবুব হাসান মুন্না, সালাউদ্দিন সান্নু, আসমত হোসেন, মামুন রহমান, কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, পিএম শহিদ, জুয়েল হোসেন, কমল প্রমুখ।

মোহাম্মদ মিলন/আরকে