সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় কমলা খাতুন (৫৫) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত ওই নারীর স্বামীসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার দরগাহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিন সকালে আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত কমলা খাতুন দরগাহপুর গ্রামের মোবারক গাজীর স্ত্রী।

নিহত ওই নারীর স্বামী মোবারক আলী জানান, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি কমলা খাতুনকে বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষে খানজাহান আলী নামে তার এক ছেলে আছে। দ্বিতীয় পক্ষে অলিউর ও ফয়জুল নামে দুই ছেলে আছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে কমলা খাতুনের সঙ্গে তিনি এক ঘরে থাকতেন না।

শুক্রবার ভোরে তিনি নামাজ পড়তে ওঠেন। এ সময় তিনি কমলার ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। পরে তাকে না পেয়ে তিনি খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে অল্প দূরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে কমলার গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান তিনি। সেখানে পাশে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দাঁ ও কমলার ব্যবহৃত একজোড়া চপ্পল পড়েছিল।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, কমলা খাতুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রহস্য উদ্‌ঘাটনে কমলা খাতুনের স্বামীসহ তিন ছেলে ও তিন ছেলের বউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কমলা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

ইব্রাহিম খলিল/এফআরএস