দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে টানা চার দিনের ছুটিতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড থেকে মদনপুর পর্যন্ত প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। 

চিটাগাংরোডে বাসের টিকিট কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের প্রচুর চাপ লক্ষ্য করা গেছে। তবে ঢাকামুখী লেনে কোনো যানজট নেই।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভোর থেকে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। সাইনবোর্ড থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজট দেখা গেছে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। ট্রাফিক পুলিশ বলছে পূজার ছুটির কারণের মহাসড়কে এমনিতেই গাড়ির চাপ বেশি তবে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় খানাখন্দায় গাড়ি ধীরগতি ও বিকল হওয়ার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। 

তিশা কাউন্টারের ম্যানেজার মোস্তফা মিয়া বলেন, গতকাল রাত থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। তবে রাস্তায় প্রচুর যানজট থাকায় গাড়িগুলো সিডিউল মতো আসতে পারছে না। অনেক যাত্রী বসে আছে গাড়ি সময়মত আসতে না পারায় তারা যেতে পারছে না।

চট্টগ্রামগামী যাত্রী আবুল হোসেন বলেন, ভোরে সায়েদাবাদ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর সেতু পার হতেই তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। জানিনা কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।

যাত্রী শায়লা আক্তার বলেন, যানজটের কারণে দশ মিনিটের রাস্তা ২ ঘণ্টায় অতিক্রম করতে হয়েছে।

শ্যামলী পরিবহনের চালক আব্দুস সাত্তার বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ি নিয়ে রওয়ানা হয়েছি। কাঁচপুর সেতু পার হতেই কয়েক ঘন্টা সময় বসে থাকতে হয়েছে। কখন যে সিলেট গিয়ে পৌঁছাতে পারব কিছুই বুঝতে পারছি না। তিনি বলেন, পূজার ছুটিতে রাস্তায় প্রচুর গাড়ি এজন্যই এই যানজট।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই আবু নাঈম বলেন, পূজার ছুটিতে মানুষ গ্রামে ছুটছে। এতে ভোর থেকেই মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে যানজটও বাড়তে থাকে। আমাদের টিম সকাল থেকেই কাজ করছে। এছাড়া মদনপুর, মোগরাপাড়া, লাঙ্গলবন্দ এলাকায় প্রচুর খানাখন্দ থাকায় গাড়ি খুব ধীরগতিতে যাচ্ছে। এজন্যই এমন যানজটের সৃষ্টি।

আরকে