শরতের প্রকৃতিতে দেখা মিলছে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলের শুভ্রতা। প্রিয়জন নিয়ে শুভ্র কাশফুলের সৌন্দর্যে হারাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনার তীরে হাজির হয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। কেউ আসছেন প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে, কেউ পরিবারের সদস্যদের আবার অনেকেই আসছেন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে। প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থীরা কাশবনে এসে সেলফি বা ক্যামেরায় নিজেদের করছেন ফ্রেমবন্দি।

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার ভাটিবন্দর মেঘনা নদীর তীরে ঘুরতে আসা জুনায়েদ বলেন, মানসিক শান্তি আর কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে এখানে ছুটে এসেছি৷ প্রতি বছরই এখানে কাশফুল ফোটে।

রূপগঞ্জ থেকে আসা জুলি বলেন, কাশফুলের সমারোহে বিকেলের বাতাস যেন শীতের আগমনের বার্তা দিচ্ছে। শৈশবের স্মৃতিগুলোকেও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। গোধূলির সময় মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাশফুল যখন বাতাসে দুলতে থাকে, তখন মনটা আনন্দে ভরে উঠে। এই অপরূপ সৌন্দর্যের কাছে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।

নারায়ণগঞ্জের আবির জানান, কাশফুল ছাড়া শরৎ পরিপূর্ণ হয় না। মেঘনা তীরে ভাটিবন্দর প্রতি বছরই ২০০ একর জমিতে কাশফুল ফোটে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক পর্যটক ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যান।

নরসিংদী থেকে ঘুরতে আসা সোহাগ মিয়া বলেন, বন্ধুরা মিলে বাইক নিয়ে নরসিংদী থেকে এসেছি। কাশফুলের শুভ্রতার ছোঁয়া পেতে আর প্রশান্তির খোঁজেই কাশবনে ঘুরতে আসা। যেখানে কাশফুল দেখে মনে প্রশান্তির ছোঁয়া পাচ্ছে। খুব ভালো লাগছে। আগে তো আশেপাশেই দেখা মিলতো। তবে এখন বিশেষ কিছু জায়গা ছাড়া কাশবনের দেখা পাওয়া যায় না।

দর্শনার্থী কাউসার বলেন, আমার শখ ঘুরাঘুরি করা। আমি ঘুরতে ভালোবাসি। কাশফুল সাধারণত গ্রামেই বেশি দেখা যায়। প্রতিদিনের ক্লান্তি কাটাতে এসব জায়গায় এসে একটু প্রশান্তি পাওয়া যায়। এই জায়গাগুলো আমাদের বিনোদন স্পট হিসেবেও কাজ করছে। খুবই চমৎকার পরিবেশ। বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছবি তুলছি, সুন্দর সময় কাটাচ্ছি।

ঘুরতে আসা আনিকা আক্তার বলেন, আমার কাছে সাদা কাশফুল দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। তাও আবার নদীর পাড়ে হলে তো কথাই নেই। বিকেল বেলা এমনিতেই নদীর পাড়ে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। সময় পেলেই আমার চাচাতো বোন ও ভাইদেরকে নিয়ে কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে আসি। প্রতি বছরই এখানে কাশফুল ফোটে।

স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ বলেন, প্রতি বছর কাশফুল ফুটলেও এবার কাশফুলের উপস্থিতি গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর সেই কাশফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতেই দলে দলে ছুটে আসছেন মানুষরা। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোর বিকেলে মানুষ যেন এই স্থানটিতে উপচে পড়তে থাকে।

মো. মীমরাজ হোসেন/এফআরএস