হাসপাতালে ঠাসাঠাসি করা রোগী রেখে কর্মবিরতিতে নার্সরা
লক্ষ্মীপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে প্রায় ৩০০ রোগী ভর্তি। কিন্তু সেখানে ঠাসাঠাসি করা রোগী রেখেই কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন নার্সরা। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীরা পড়েন ভোগান্তিতে। রোগীরা সঠিক সেবা পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তাদের স্বজনরা।
বুধবার (০৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং কাউন্সিলে নার্সদের পদায়ন করার দাবিতে তারা কাজে যোগ না দিয়ে মানববন্ধন করেন। হাসপাতালের সামনেই নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় সেখানে বক্তব্য রাখেন সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার মোসা. রেহেনা বেগম, সিনিয়র স্টাফ নার্স ময়না বেগম, বিবি জহুরা বেগম, ফাতেহা বেগম ও লায়লা বেগম। এছাড়া সদর হাসপাতালের কর্মরত অন্যান্য নার্সরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
নার্সদের অভিযোগ, নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পরিচালক পদগুলো কেবল নার্সদেরই জন্য। অথচ আমলারা ওই পদগুলোতে বসে নার্সদের সঙ্গে চরম অন্যায় করছেন। এ জন্য নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং কাউন্সিল থেকে প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারণ করে অভিজ্ঞ ও দক্ষ নার্সদের পদায়ন করার দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন
এদিকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে প্রায় ৩০০ জন রোগী ভর্তি আছেন। এরমধ্যে অধিকাংশই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। নার্সদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এসব রোগীদের। কিন্তু কর্মবিরতি পালন করায় নার্সরা কাজে যোগ দেননি। এতে চিকিৎসাধীন রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
আয়েশা বেগম, জনি আক্তার, ছামিয়া আক্তার ও আবদুর রশিদসহ কয়েকজন রোগীর অভিযোগ, পুরো হাসপাতালে প্রচুর রোগী। ঠাসাঠাসি অবস্থা। এর মধ্যেও সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু নার্সদের কর্মবিরতিতে তাদের সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। তাদের কষ্ট পেতে হচ্ছে।
বিবি কুলসুম ওে মো. বাবলুসহ কয়েকজন রোগীর স্বজনরা জানায়, রোগীদের হাসপাতালে সুচিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলেও নার্সদের কর্মবিরতির কারণে তার ব্যাঘাত ঘটছে। রোগীরা সময়মতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এতে চিকিৎসা না পেয়ে রোগীরা যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছে। স্বজনদের মাঝে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবীর দাবি করেন, কর্মবিরতির সময় রোগীদের সেবায় জরুরি স্কোয়াড করে সেবা দেওয়া হয়েছে। তবে নার্সদের কর্মবিরতিতে রোগীদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এফআরএস