চুয়াডাঙ্গা সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলশিক্ষকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষক তাজমিনা খাতুন (৪৫) ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগরপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত পবন মণ্ডলের ছেলে বৃদ্ধ আমজাদ হোসেন (৬০)।

জীবননগর থানা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যাদব কুমার প্রামাণিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, জীবননগরের উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক স্বামী আব্দুর শুকুরের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গার ভাড়া বাড়িতে যাচ্ছিলেন তাজমিনা খাতুন। চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের লোকনাথপুর এলাকায় পৌঁছালে অবৈধ ইঞ্জিনচালিত করিমনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে পড়েন তাজমিনা খাতুন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাজমিনা খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কিছুক্ষণ পর চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান।

অপরদিকে, নিহত বৃদ্ধের নাতি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দাদা আমজাদ হোসেন ঝালমুড়ি কিনে বাড়িতে আসছিলেন। এ সময় বোয়ালিয়া-জালশুকা গ্রামের মাঝে ব্রিজের নিকট পৌঁছালে পেছন থেকে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক তাকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর মো. আসিফ মুজতবা ঢাকা পোস্টকে বলেন, তাজমিনা খাতুন মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে ওয়ার্ডে পাঠানোর কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। এ ছাড়া বৃদ্ধ আমজাদ হোসেনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই তিনি মারা যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, দামুড়হুদায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে এক নারী ও সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে ইজিবাইকের ধাক্কায় একজন বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আফজালুল হক/এমজেইউ