নদী বা সাগর থেকে যারা ইলিশ মাছ আহরণ করেন তারা সাধারণত গরিব জেলে। মাছ ধরার জাল, নৌকা, ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন উপকরণ কেনার টাকার অভাবে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মুনাফায় দাদন গ্রহণ করে মাছ ধরতে যান তারা। দাদনের অতিরিক্ত মুনাফা পরিশোধ করতে গিয়ে জেলেদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয় ইলিশ।

এ ছাড়া আড়ত, বিভিন্ন স্থানে চাঁদা, পরিবহন ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিসহ নানা কারণে খুচরা বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি উদ্যোগে ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে দাদন সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য সিন্ডিকেট ভাঙা না হলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই থেকে যাবে ইলিশ।

জেলে, দাদনদাতা ও মৎস্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদী বা সাগর পাড়ের জেলেরা সাধারণত ভাঙন, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সংকটের কারণে গরিব শ্রেণির হয়ে থাকেন। জীবন ধারণের জন্য নদী বা সাগরে মাছ ধরার প্রাথমিক উপকরণ নৌকা, জালসহ অন্যান্য উপকরণ কেনার সামর্থ্য থাকে না তাদের। ফলে বাধ্য হয়ে জেলেরা দাদন গ্রহণ করে নদী ও সাগরে মাছ ধরতে যান। 

জেলেদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করেন এক শ্রেণির অসাধু দাদন ব্যবসায়ী। দাদনের টাকা বা মাছ ধরার উপকরণ দাদন ব্যবসায়ীরা জেলেদের এমনভাবে দেন যেন একজন জেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনো রকম খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারেন। নদী বা সাগরে বিভিন্ন সময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা, বন্যাসহ প্রভৃতি কারণে কোনো বছর যদি জেলেরা ঠিক মতো মাছ ধরতে না পারেন, তাহলে দাদনের টাকা বেড়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তাদেরকে এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে হয়।

নদীসহ সাগরে মাছ ধরতে জেলেদের সক্ষম করে তুলতে সরকারি যে উদ্যোগ, তা একেবারেই অপ্রতুল বলে দাবি করেন জেলেরা। সরকারি বা অন্যান্য সংস্থার সহায়তা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত জেলেরা বাধ্য হন অতিরিক্ত মুনাফায় দাদন গ্রহণ করতে। 

অসাধু দাদন ব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে অতিরিক্ত দামে মাছ বিক্রি করলেও জেলেদের কোনো উন্নতি হয় না। অন্যদিকে, দাম বৃদ্ধি পেতে পেতে বর্তমানে দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে ইলিশ।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, সরকার ইলিশ মাছের কোনো দাম নির্ধারণ করে দেয় না। নদী বা সাগরে মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয় গরু, ছাগল, চালসহ অন্যান্য উপকরণ। যা নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জীবনধারণ করার জন্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন সচেতন মহল।

মাছ ধরার মৌসুমে জেলেদের বৈধ জাল ব্যবহারে উদ্ভুদ্ধ করতে সরকারের গ্রুপভিত্তিক জাল বিতরণ কর্মসূচি আছে, তবে তা খুবই স্বল্প পরিসরে। বেশিরভাগ জেলেই তা পান না। বাংলাদেশ নদ-নদীর দেশ। সরকার কৃষি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে যেভাবে কৃষির সকল উপকরণ উল্লেখযোগ্য হারে বিতরণ করে, সেভাবে যদি জেলেদের মধ্যে নৌকা, জালসহ মাছ ধরার উপকরণ বিতরণ করত, তাহলে জেলেরা ধীরে ধীরে দাদনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রেখে ইলিশ বিক্রি করতে পারতেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সরকার প্রতি বছর মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন এবং জাটকা ইলিশ রক্ষায় ৯০ দিনের জন্য ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন, মজুত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ইলিশ মাছ রক্ষায় এ সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ বেশ উদ্যোগ নিয়ে ইলিশ ধরা বন্ধ রাখতে কাজ করে। কিন্তু জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতি বছর নদী থেকে মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ ধরে বিক্রি করেন। নিষিদ্ধ সময়ে জেলেরা দাদনের টাকা পরিশোধ করার আশায় ইলিশ মাছ আহরণ করেন। কিন্তু সরকার জেলেদের দাদনের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) ইলিশ মাছ। ইলিশ নদী ও সাগরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়। শুধু আহরণ খরচ ছাড়া ইলিশের পেছনে কোনো ব্যয় হয় না। নদীপাড়ের মানুষ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ তেমনভাবে পদ্মার ইলিশ মাছ চিহ্নিত করতে পারেন না। পদ্মা নদীর ইলিশের স্বাদ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পটুয়াখালীর মহিপুর, বরিশাল, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইলিশ মাছকে পদ্মার ইলিশ হিসেবে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে। মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এসব নিয়ন্ত্রণ করতে যৌথভাবে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি শরীয়তপুরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। সর্বোপরি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর উদ্যোগী না হলে কোনোভাবেই ইলিশ মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় আসবে না।

শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইলিশ মাছের অভয়াশ্রম। পদ্মাসহ শরীয়তপুরের আশেপাশের নদী থেকে ৩০ হাজারের বেশি সংখ্যক জেলে প্রতি বছর পাঁচ হাজার ৯০১ টনের কম-বেশি ইলিশ মাছ আহরণ করেন। দেশের বিভিন্ন নদী ও সাগরের মধ্যে পদ্মা নদীর ইলিশের স্বাদ বেশি হওয়ায় এ ইলিশের চাহিদা বাজারে সবচেয়ে বেশি। শরীয়তপুরের পদ্মা নদী থেকে যে পরিমাণ ইলিশ আহরণ করা হয়, সে পরিমাণ ইলিশের চাহিদা শরীয়তপুরে না থাকলেও অতিরিক্ত দামের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ ইলিশ ক্রয়ের সক্ষমতা রাখে না।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর ঘাটে প্রতিদিন ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি করেন পদ্মা নদীর জেলেরা। ঘাটে ইলিশ বিক্রি করতে আসা জেলে, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ জেলেরা সাধারণত এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন। এরপর ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে এক কেজি ওজনের ওই ইলিশ দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করে থাকেন।

শরীয়তপুরের সখিপুরের পদ্মা নদীতে ইলিশ আহরণ করছেন জেলেরা/ছবি-ঢাকা পোস্ট

সখিপুরের উত্তর তারাবুনিয়া এলাকার জেলে আব্দুর গফুর মিয়া মাছ ধরা শিখেছেন তার বাবার কাছে। পাঁচ পুরুষ ধরে পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ আহরণ করলেও গফুর মিয়া নৌকা, জালসহ মাছ ধরার উপকরণ ক্রয় করতে পারেননি। বাপ-দাদার মতো তিনিও দাদন নিয়ে পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ আহরণ করেন। 

নদী থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া মাছ কেন বেশি দামে বিক্রি করতে হয়— এমন প্রশ্নের জবাবে গফুর মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছর পদ্মায় ইলিশ মাছ ধরার জন্য আমি মহাজনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাদন নিয়েছি। সরকারের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাসহ নদীর অবস্থা বুঝে বছরে ২০০ দিন ইলিশ মাছ আহরণ করা যায়। মহাজনের থেকে দাদন নিয়ে আমরা ছয়জন একটি নৌকায় মাছ ধরি। মাছ ধরার পর দাদনের শর্তানুযায়ী শুধুমাত্র দাদনদাতা মহাজনের আড়তে মাছ বিক্রি করতে হয় আমাদের। ধরুন, আজ মহাজনের আড়তে আমরা সাত হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি। মহাজন দাদনের মুনাফা হিসেবে বিক্রির টাকা থেকে শতকরা ১০ টাকা হারে প্রথমে ৭০০ টাকা কেটে রাখেন। এরপর দাদনের মূল টাকা পরিশোধ করার জন্য এক হাজার টাকা কেটে রাখেন। আমার কাছে রইল পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। এরপর নৌকার তেল, খাবারসহ অন্যান্য বিষয় মিলিয়ে খরচ হয় ৬০০।

‘বাকি চার হাজার ৭০০ টাকা আমরা ছয় ভাগে ভাগ করি। প্রত্যেকের ভাগে পড়ে ৮০০ টাকার কম। আমার সংসারে সদস্য সংখ্যা আটজন। ৮০০ টাকায় চাল, ডাল, তেল, নুনসহ সকল খরচ বহন করতে হয় আমাকে। এরপর নিষেধাজ্ঞাসহ সতর্ক সংকেত ইত্যাদি কারণে যেদিন মাছ ধরতে পারি না, সেদিনের মুনাফা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে।’

গফুর মিয়া বলেন, নদীতে প্রতিদিন মাছ পাওয়া যায় না। সবমিলিয়ে বছর শেষে দাদনের টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হয়। বছরের দাদন বছরে শেষ করতে না পারলে পরের বছর আবার পেছনের বছরের দাদন পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়। আর আপনারা বলেন, আমরা নদী থেকে ইলিশ ধরে ডাঙায় এনে বেশি দামে বিক্রি করি। দাম বাড়িয়ে বিক্রি করলেও তো দিন শেষে আমাদের কিছুই থাকে না। সরকার যদি দাদনের অভিশাপ থেকে আমাদের মুক্ত করত, তাহলে আমরা কম দামেই ইলিশ বিক্রি করতে পারতাম।’

সুবেদ আলী নামের এক জেলে নড়িয়ার পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ আহরণ করেন। দাদনের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তিনি এখন অন্যের নৌকা, জাল দিয়ে মাছ আহরণ করেন। প্রতিদিন কয়েক হাজার টাকার মাছ আহরণ করলেও গড়ে তিনি ভাগে পান ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। 

জানতে চাইলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মহাজনের জাল, নৌকা দিয়ে আমিসহ পাঁচজন পদ্মায় ইলিশ মাছ আহরণ করি। মাছ ধরার পরে ডাঙায় এনে শর্তানুযায়ী মহাজনের আড়তে মাছ বিক্রি করতে হয়। একদিনে পাঁচ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করতে পারলে পাঁচ হাজার টাকা তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এক ভাগ নৌকা, জাল ও ইঞ্জিনের খরচ। এক ভাগ মহাজনের, বাকি ভাগ আমাদের পাঁচজনের। অর্থাৎ আমরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি পাই না।’

‘অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারের পক্ষ থেকে অফিসাররা কার্ডধারী জেলেদের ছাগল, গরু, চালসহ প্রভৃতি উপকরণ প্রদান করেন। এ সময় আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। কারণ, সরকারের ওই প্রণোদনা দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। সরকার যদি আমাদের ডাঙার কৃষকদের মতো দলগতভাবে নৌকা, জাল, ইঞ্জিনসহ মাছ ধরার সমস্ত উপকরণ প্রণোদনা হিসেবে দিত, তাহলে আমরা ধীরে ধীরে মহাজনের দাদন নামক অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতাম। দাদনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেলে ইলিশ কম দামে বিক্রি করা যেত। তখন ইলিশ সাধারণ মানুষ ক্রয় করতে পারত। আমরাও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারতাম।’

রুহুল আমিন মাহমুদ একজন দাদনদাতা। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাপ-দাদার ব্যবসা হিসেবে জেলেদের দাদন দিয়ে থাকি। মাছ বিক্রির শতকরা ১০ টাকা মুনাফা রাখলেও আমাদের বছর শেষে লোকসান গুনতে হয়। কারণ, নদীতে সবসময় মাছ পাওয়া যায় না। জেলেরা দাদন পরিশোধ করতে না পারলে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। 

আবুল হোসেন নামের এক সিএনজিচালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছয় মাস আগে মেয়েজামাই বেড়াতে এসেছিল। তখন এক হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি ইলিশ ক্রয় করেছিলাম। এরপর আর ইলিশের স্বাদ নিতে পারিনি। ইলিশ মাছ কিনব, এমন চিন্তাও করি না এখন।

যোবায়ের খান নামের এক এনজিওকর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইলিশ বড়লোকের মাছ। আমার মতো স্বল্প বেতনের বেসরকারি চাকরিজীবী বর্তমান বাজারে ইলিশ ক্রয় করার ক্ষমতা রাখে না। গত এক বছরে ইলিশ খাওয়া হয়নি আমার পরিবারের কারও।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, শরীয়তপুরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জান্নাতুল ফেরদৌস ঢাকা পোস্টকে বলেন, পালং বাজারের এক ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী ক্রয় রশিদ দেখাতে না পারার অপরাধে তাকে জরিমানা করা হয়েছে। শরীয়তপুরে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে কখনও ইলিশ মাছের বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।

শরীয়তপুর মৎস্য বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা (ইলিশ) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইলিশ মাছের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেয়নি। ইলিশ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণা রুখতে বা মূল্য নিয়ন্ত্রণে মৎস্য বিভাগ কখনও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেনি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), শরীয়তপুরের সভাপতি অ্যাডভোকেট রাশেদুল হাসান মাসুম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দাদন ব্যবসা হাজার বছরের পুরানো। সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে দাদন ব্যবসা উঠে গেলেও জেলেদের মধ্যে এখনও খুব শক্তভাবে রয়ে গেছে। গরিব জেলেরা বাধ্য হয়ে দাদন গ্রহণ করেন। সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ ব্যতীত দাদনের অভিশাপ থেকে জেলেরা কখনও মুক্ত হবে না।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এখন ইলিশের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছেন। ধীরে ধীরে ইলিশের দাম উচ্চবিত্ত ছাড়া সকলের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। সরকারের উচিত প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া। তবে, এর আগে অবশ্যই জেলেদেরকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলে দাদনের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। দাদনের কবল থেকে জেলেরা মুক্ত না হলে ইলিশের দামও কমবে না।

আরএআর