বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবিরের (৬০) নামে রাষ্টদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান ঢাকা পোস্টকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে বরগুনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আহম্মেদ বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।  

মামলায় উল্লেখ করা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল ফোনে কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও পর্যালোচনায় দেখা যায় গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনার পতন হয়। ওই আন্দোলনের সময় অসংখ্য নিরীহ ছাত্র ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে  ভারতে পালিয়ে গেলে গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। পরবর্তীতে দেশের পরিস্থিতি ও জনজীবন অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশানায় গোপালগঞ্জ জেলায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। ওই মিছিলের অংশ হিসেবে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে গত ১০ আগস্ট বরগুনায়ও একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।

আরও উল্লেখ করা হয়, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবিরের মোবাইল ফোনেও কথপোকথনের সময় জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মী সমর্থকরও জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে ছিলেন। এ কথপোকথনে অন্তবর্তী সরকারকে উৎখাত করার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাহাঙ্গীর কবিরসহ তাদের সমর্থকদের বিভিন্ন কর্যকলাপে বর্তমান সরকারের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয় এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তা রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধের সামিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরের নামে সদর থানায় রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে দুটি চাঁদাবাজি মামলায় বরগুনা জেলা কারাগারে আছেন।

আব্দুল আলীম/আরকে