রাজবাড়ীতে ৪৪১ মণ্ডপে দুর্গাপূজা শুরু
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শুরু হয়েছে আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে। রাজবাড়ী জেলার মণ্ডপগুলোতে শেষ সময়ের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। রংতুলির আঁচড়ে প্রতিমাগুলো নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি সাজানো হয়েছে মণ্ডপের প্যান্ডেলগুলো। এ বছর জেলায় ৪৪১টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জানা গেছে, আজ ৯ অক্টোবর দেবীর বোধন ও ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
বিজ্ঞাপন
১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ অক্টোবর নবমী ও ১৩ অক্টোবর দশমী পূজার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য মতে, এ বছর রাজবাড়ী জেলায় মোট ৪৪১টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদর ও পৌরসভায় ১১০টি, গোয়ালন্দ উপজেলায় ২৬ টি, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১৪৭টি, পাংশায় উপজেলায় ১০১টি ও কালুখালী উপজেলায় ৫৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপম কুমার দাস বলেন, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে থাকবে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি মন্দিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা কাজ করবেন। মণ্ডপগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে বলেছি আমরা। রাজবাড়ীর বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক। সবকিছু ঠিক আছে। তাই মণ্ডপের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের মাঝে কোনো শঙ্কা নেই। দুর্গাপূজা সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এ উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই অংশ নেয় বলে জানান তিনি।
জেলা আনসার ভিডিপির কমান্ড্যান্ট মোস্তারী জাহান ফেরদৌস বলেন, জেলার ৪৪১টি দুর্গাপূজা মণ্ডপের অনুকূলে ২ হাজার ৭৮৪ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবে। এক মুহূর্তের জন্যেও পূজামণ্ডপ খালি থাকবে না। যদি কেউ ওয়াশ রুমেও যায়, ওই জায়গায় অন্য কাউকে বসিয়ে যেতে হবে এমন নির্দেশনা সদস্যদের দেওয়া হয়েছে। রাত ২টা থেকে ফজর পর্যন্ত সকলকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বলেন, চার স্তরের নিরাপত্তার বলয় থাকবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। প্রতিটি উপজেলাতে পোশাকে ৬ জন পুলিশ সদস্যের তিনটি করে মোবাইল টিম থাকবে এবং প্রতিটি উপজেলায় ১০টি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজায় জেলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো নিরাপত্তার ঘাটতি রাখা হবে না।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরকে