খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিক এবং পুলিশ একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের কাজের ধরন ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য কিন্তু এক।  

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, এবারের দুর্গোৎসবে খুলনা জেলা পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ৯৬৫ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। সংখ্যা আরও বাড়বে। নিরাপত্তায় ডিবির টিম, থানা পুলিশ, সাইবার মনিটরিং আছে। এ ছাড়া সাদা পোশাকে এবং যৌথবাহিনীর সঙ্গেও নিরাপত্তায় কাজ করা হচ্ছে। যেখানে যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেখানেই নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, খুলনার ৯ উপজেলায় এবার ৭৪০টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এসব পূজামণ্ডপকে তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপ রয়েছে ১৫৭টি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ২৪৬টি এবং সাধারণ পূজামণ্ডপ ৩৩৭টি।  

সম্প্রতি দাকোপে মণ্ডপে চাঁদা চেয়ে উড়োচিঠি দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আমাদের ফোকাল পয়েন্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সুশান্ত সরকার সেখানে গিয়ে কমিটির সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই পূজামণ্ডপগুলোকে আমরা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিয়ে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছি। 

তিনি বলেন, আমাদের কোনো বিষয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। আশঙ্কা থাকুক আর নাই থাকুক আমরা সব বিষয়ে সতর্ক আছি। 

মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তানভীর আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম অ্যান্ড অপস্ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) সুশান্ত সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 


মোহাম্মদ মিলন/এনএফ