‘‌‌ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বলেছে। তখন আমাকে আসামি করা হয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা টেনেছি। জেলে গিয়েছি বাড়িঘরে থাকতে পারি নাই। আজ সেই মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ’

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর জজকোর্টে সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই খালাস পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করেন নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন। নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নোমান মঈন উদ্দিন খালাসের রায় দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম ও এডভোকেট আব্দুর রহমান।

আজিম সুমন বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যে ভিন্ন মতের মানুষের দমন করার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরই স্কুল শিক্ষিকা হত্যা মামলায় আমিসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০০০/২৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আমরা ৫০ জনই আজ খালাস পেলাম। এটা আমাদের স্বাধীনতার প্রতিফলন। যিনি আমাদের পালিয়ে থাকতে বাধ্য করেছিলেন। তিনিই আজ পালিয়ে দেশ ছেড়ে গেছেন।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ২০ দলের ডাকা দেশব্যাপী হরতাল চলাকালে সকাল ১০টার দিকে হরতাল সমর্থনকারী পিকেটারের ইটের আঘাতে শামসুন্নাহার ঝর্ণা (৩৫) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা নিহত হন। শিক্ষিকা নিহতের মামলায় মঞ্জুরুল আজিম সুমনসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়।

তৎকালীন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ গণমাধ্যমকে জানান, পিকেটারদের ইটের আঘাতে মাথায় প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হওয়ায় শামসুন্নাহারের মৃত্যু হয়। শামসুন্নাহার রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের তাওহিদ ল্যাবরেটরি স্কুলের সহকারী শিক্ষকা ছিলেন। তার বাড়ি ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা এলাকায়।

নোয়াখালী জেলা কোর্ট ইন্সপেক্টর শাহ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১৪ সালের শিক্ষিকা শামসুন্নাহার হত্যা মামলায় ৫০ জন আসামি এজহারভুক্ত ছিল। আজ মহামান্য আদালত ৫০ জনকেই খালাস দিয়েছেন।

হাসিব আল আমিন/আরকে