গাজীপুরে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে গুলি বর্ষণ ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মহানগরীর ১০৭টি পূজামণ্ডপে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে শহরের কালি মন্দিরের সামনে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম টিটু (৪৫) ও ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির উপদেষ্টা সাবেদ তালুকদারকে (৫২) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং চাপাতির কোপে গুরুতর আহত যুবদল নেতা অলিউল্লাহ তুহিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনির পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রনির অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সদর থানার সভাপতি মেহেদী হাসান এলিস, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল, বিএনপি নেতা জিএস সুরুজ আহমেদ, হান্নান মিয়া হান্নু, ডা. শহীদুজ্জামান, আহমদ আলী রুজদী,  মনিরুল ইসলাম মনির, মোফাজ্জল হোসেন চেয়ারম্যান, গাজী সালাউদ্দিন ও মহানগর কালিমন্দিরের সদস্য সচিব বাপ্পি দে। 

দুপুর সোয়া ১টার দিকে অনুষ্ঠান শেষ হলে অতিথিরা চলে যান। পরে কালিমন্দিরের বাইরে রেলক্রসিং এলাকায় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিএনপির একটি অংশের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করে এবং চাপাতি নিয়ে হামলা চালায়। এতে ওই তিনজন আহত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত জিএস সুরুজ আহমেদ বলেন, অনুষ্ঠান শেষে আমরা চলে আসার পর কি ঘটনা ঘটেছে জানা নেই। 
 
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার বলেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল কবির রনির একটি অনুষ্ঠান ছিল। রনি বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। সেখানে তার সমর্থকদের দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরিদ বলেন, দুপুরে আহত অবস্থায় একজন হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার পিঠে ধারালো ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) নাজির আহমেদ খান বলেন, পূর্ব শত্রতার জেরে হামলা এবং গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শিহাব খান/আরকে