রংপুর সিটি কর্পোরেশনে (রসিক) মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণের পর নাগরিক সেবা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। কর্পোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনা ও নাগরিক সেবা সচল রাখতে সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।

সোমবার (৭ অক্টোবর) রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রাণী রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী (১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ড), স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. রায়হান কবির (২০ ও ২৫ নং ওয়ার্ড), বিটিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার-২ (উত্তরাঞ্চল) এজেডএম তাইয়ার (২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ড), গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল আলম (২ ও ১৬নং ওয়ার্ড)।

সওজ-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম (৫ ও ১০নং ওয়ার্ড), জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ (৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর (১ ও ২৪ নং ওয়ার্ড), বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসনাত জামান (২১ ও ৩১ নং ওয়ার্ড), উপপরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. ওয়াজেদ আলী (১ ও ১০ নং ওয়ার্ড)।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক কাজী নজমুজ্জামান (৭, ১৭ ও ৩৩ নং ওয়ার্ড), পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ গণি (১০, ২২ ও ২নং ওয়ার্ড), বিভাগীয় বন কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় (১১, ১২ ও ১৪ নং ওয়ার্ড)।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান (২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আকিদুল ইসলাম (১৫ ও ২৮নং ওয়ার্ড) এবং সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করবেন।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, নাগরিক সেবা সচল করতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করলে নাগরিকরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজে