সাবেক এমপি গোলাম রাব্বানীসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপিকর্মী মতিউর রহমান হত্যা মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী বিশ্বাসসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল আদালতের শিবগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক তহিদুল জামান এই আদেশ দেন। এর আগে আজ সোমবার শিবগঞ্জ আমলি আদালতে মামলা করেন মতিউর রহমানের ভাই মো. জেম আলী (৩৬)। তার বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের বাজিতপুর এনায়েত বিশ্বাস পাড়ায়।
বিজ্ঞাপন
মামলায় ২৭ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস (৬৬), কানসাট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও কানসাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনাউল ইসলাম (৫৫), মো. ইমতিয়াজ আহমেদ শিশির (৩৮), মো. শহীদ কায়সার (৩৮), মো. সাদ্দাম (৩৫), মো. বিপ্লব (৩৫), হাফিজুর রহমান (৩৬), রেজানুয়ার হক রেজু (৩৭), মো. আতাউর (৫০), গোপাল (৩৫), নুরুল ইসলাম নুরু মৌলভী (৫৫), মো. হযরত (৫৫), মো. পলাশ (৪০), মো. জেনারুল (৪৪), আব্দুল বাসির (৪০), সাইফুল (৪০), মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫), আশরাফুল মাস্টার (৪৪), রবিউল ইসলাম রবি (৪৬), আব্দুর রশিদ (৫০), আবুল কাসেম (৪৫), শিমুল আলী (৩৫), মো. মানিক (৩৮), শহিদুল ইসলাম রনি (৩৮), আব্দুর রাজ্জাক (৪০), তৎকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব-৫ কোম্পানি কমান্ডার মেজর কামরুজ্জামান পাভেল এবং র্যাব-৫-এর এসআই মো. বিসারত আলী। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৮ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি মতিউর রহমান এম তার খালুর বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে আসেন। এ সময় রাজনীতি নিয়ে বিরোধে মতিউর রহমানসহ আরও ৪/৫ জনকে চোখ-মুখ ঢেকে র্যাবের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে মতিউরের মামাকে জানানো হয় তার মরদেহ শিবগঞ্জ থানায় রয়েছে। শিবগঞ্জ থানায় গিয়ে দেখা যায় তার বাম বাহু ভাঙা এবং বুকে ৮ থেকে ৯টি ছিদ্র। পরে পরিবারের কাছে গুলিবিদ্ধ মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলম কবির বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি সেই সময়ে একটি চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করলে এর আসল রহস্য উদঘাটন হবে। তাই আজ যে আদেশ আদালত দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
মো. আশিক আলী/এমজেইউ