মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যার পর সিন্দুকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূ রুনা বেগমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুত্রবধূ রুনা ও তার মাকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।

রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে সিংগাইর পৌরসভার নয়াডাঙ্গী এলাকার নিহতের নিজ বাড়ির শয়নকক্ষের সিন্দুকের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত হায়াতুন নেছা সিংগাইর পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গী গ্রামের মাহামুদ কাজীর স্ত্রী। আটক রুনা বেগম প্রবাসী আব্দুল খালেকের স্ত্রী (২৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী আব্দুল খালেকের মা ও বউ একই সঙ্গে বসবাস করতেন। মাঝেমধ্যেই ছেলের বউ রুনা তার শাশুড়িকে না জানিয়ে বাড়ির বাইরে ঘুরতে বের হতেন। এ নিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুনা তার শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সিন্দুকের ভেতরে মরদেহ লুকিয়ে রাখে। এরপর বোরবার সকালে রুনা তার নানীর বাড়ি চলে যায়। এদিকে বাড়িতে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে স্বজনরা হায়াতুন নেছাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।

রোববার সন্ধ্যায় রুনা তার মাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে এলে প্রতিবেশী ও স্বজনরা তার কাছে কি হয়েছে জানতে চাইলে, চাপে পড়ে শাশুড়িকে হত্যা করে সিন্দুকের ভেতর লুকিয়ে রেখেছে বলে স্বীকার করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে সিন্দুকের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।  

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোশারফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বউ রুনা ও তার মাকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।

সোহেল হোসেন/আরকে