নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গৃহবধূর মুখ এসিডে ঝলসে দিয়েছে প্রতিবেশী যুবক। 

রোববার (৬ অক্টোবর) উপজেলার নরোত্তমপুরে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে গৃহবধূ ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম (৩৬) বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মফিজ মেম্বার বাড়ির মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী জেসমিন আক্তার (৩৪) একই এলাকার মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই ভুক্তভোগী জেসমিন আক্তারের পরিবারের সঙ্গে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের বসতবাড়ির সীমানা বা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী ৬ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার বিবাদীরা ভুক্তভোগীর বসতঘরে গিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এতে দুই পরিবারের মধ্যে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর জেসমিন আক্তারের গায়ে এসিড নিক্ষেপ করে। বর্তমানে ভুক্তভোগী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিটন দেওয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত উভয়ই প্রতিবেশী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। 

হাসিব আল আমিন/আরকে