কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামের খালি বিল ভাউচারের বই উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খালি এসব বিল ভাউচার অর্থ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছিল হিসাব রক্ষণ বিভাগ। কলেজের বিভিন্ন কাজের খরচের হিসাবে নয়-ছয় করতেই এসব খালি বিল ভাউচারের বই কলেজেই সংরক্ষণ করা হতো।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার হিসাবরক্ষকের কক্ষ থেকে এসব বিল ভাউচার উদ্ধার করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভিক্টোরিয়া কলেজের সমন্বয়করা সেসব খালি বিল ভাউচার উদ্ধার করেন।

উদ্ধার করা খালি বিল ভাউচারের ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এসব বিল ভাউচারের মধ্যে কোনোটির দুটি পাতা ব্যবহৃত, কোনোটির একটি পাতাও ব্যবহার হয়নি।

উদ্ধার করা বিল ভাউচার বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্য কুমিল্লা ক্লাব, মদিনা সেনিটারি, মোস্তফা ফার্নিচার হাউজ, কাক্কুর ক্যান্টিন, হোটেল ছন্দু ব্রিজ শাখা, হোটেল ছন্দু বিশ্বরোড শাখা, কিং ফিশার রেস্টুরেন্ট, নূর জাহান হোটেল, ঘরোয়া হোটেল, আদিবা কম্পিউটার, ডায়না হোটেল, রিয়াজ প্রিন্টার্স অ্যান্ড অফসেট প্রেস, নিউ পুষ্পালয়, মুসলিম সুইটস, চান্দিনা পেপার হাউজসহ কয়েকশো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের খালি বিল ভাউচারের বই।

কলেজের বিভিন্ন কাজের খরচ বাবদ মোট হিসাবের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে এসব ভাউচার ব্যবহার হওয়ার কথা থাকলেও খরচের আগেই বান্ডেলে বান্ডেলে রাখা এসব ভাউচার বই অব্যবহৃতভাবে কেন, হিসাব রক্ষকের কক্ষ এবং বিভিন্ন বিভাগের অফিস রুমে এসব ভাউচার কেন সংরক্ষিত থাকবে— এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে কলেজটির হিসাবরক্ষক সাইফুদ্দিন সুমন বলেন, বসার কক্ষের একটি পুরাতন আলমারি ও বিভিন্ন বিভাগ থেকে এসব বিল ভাউচারের বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে দিয়ে আসেন। এর বেশি আমি কিছু জানি না। এগুলো কারা সংরক্ষণ করেছে, কী উদ্দেশ্যে করেছে সেসব আমার জানা নেই।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, ভাউচারগুলো উদ্ধার করে শিক্ষার্থীরা আমার কাছে নিয়ে আসে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরিফ আজগর/এমজে