নোয়াখালী সদর উপজেলায় মুর্শিদা বেগম (৫২) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের নিত্যানন্দপুর গ্রামের ছমি হাজির বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত গৃহবধূর স্বামী মো. বাচ্চু মিয়াকে (৬২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মো. বাচ্চু মিয়া সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যানন্দপুর গ্রামের ছমি হাজির বাড়ির বাসিন্দা আলম মিয়ার ছেলে।

নিহত নারীর স্বজনদের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে কোনো এক সময় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন বাচ্চু মিয়া।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিত্যানন্দপুর গ্রামে বাচ্চু মিয়া ও তার স্ত্রী মুর্শিদা বেগম বসবাস করতেন। তাদের চার ছেলে আছে। তবে তারা কেউ বাড়িতে থাকেন না। আজ সকালে আমেনা বেগম নামের প্রতিবেশী এক নারী ওই বাড়িতে মুর্শিদার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। খবর পেয়ে সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মুর্শিদার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরেই স্ত্রী মুর্শিদা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছেন তার স্বামী বাচ্চু মিয়া। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বাচ্চু মিয়া পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মুর্শিদাকে ঘুমের মধ্যে গলা কেটে হত্যা করেছেন। কারণ রাতে তারা দুজনই ঘরে ছিলেন। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার বাচ্চুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/এসএসএইচ